Saturday, May 21, 2016
এতো ভালোবাসা ???? নাকি ঢং !!
রাতুল এবং রাইসা স্বামী স্ত্রী, রাতুল
ছেলে হিসেবে খুবই ভালো কিন্তু একটু
অগোছালো এবং বেখায়ালি কোনো
কাজই সময় মত করে না। এদিকে রাইসা
হলো রাগি স্বভাবের।
রাত অনেক হয়ে গেছে রাইসা
ঘরে অনেক্ষন যাবত বসে আছে রাইসা,
রাতুলের আসার নাম নেই, অনেক্ষন পর তার
আগমন ঘটলো
- এতক্ষণ লাগলো তোমার আসতে?
কোথায় ছিলে?
- একটু বাহিরে গেছিলাম
- কি?? বাহিরে?
- হুম
- এখন থেকে আর বাহিরে থাকা চলবে না,
এই বলে দিলাম।
- ওকে, দেখা যাবে
তাদের বিয়ে হয়ে কয়েক মাস হয়ে গেছে,
তবে বিয়েটা লাভ ম্যারেজ।
দীর্ঘ চার বছর রিলেশনের পর তারা বিয়ে
করছে , তাদের মধ্যে ভালবাসার কোনো
কমতি নেই।
সকাল নয়টা বেজে গেছে, রাতুল অফিসে
যাবে তাই রাইসা অনেক সকাল থেকেই
রান্নার কাজে ব্যস্ত এদিকে রাতুল কেবল
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্যে
রেডি হচ্ছে।
রান্না ঘরে গিয়ে রাইসাকে পেছন থেকে
জড়িয়ে ধরলো
- এই কি করছো! ছাড়ো বলছি
- ছাড়বো না
সামনে ঘুরে রাতুলের দিকে দাকিয়ে হেসে
দিল
- কি হলো হাসছো কেনো?
- নিজের দিকে একবার তাকাও
- নিজের দিকে তাকানোর কি আছে
- শার্টের বোতাম গুলাও তো ঠিক মতো
লাগাতে পারো নি এলো মেলো হয়ে
গেছে
- তোহ, কি হয়ছে? তুমি ঠিক করে দাও
- তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না, একটা
কাজও ঠিক মতো করতে পারো না। এখন
খেতে আসো।
সকালের খাবার টা খেয়ে অফিসের দিকে
রওনা হলো রাতুল।
অফিসে পৌছে রাইসা কে ফোন দিয়ে
- আমি ঠিকমতো পৌঁছেছি
- হুম, আর কোনো মেয়ের সাথে ভুলেও কথা
বলার চেষ্টা করবে না, আমি যদি জানতে
পারি তুমি কারো সাথে কথা বলেছো
তাহলে খবর আছে বলে দিলাম
- আচ্ছা বাবা রাখি।
অফিসের কাজগুলো শেষ করে বাসায় চলে
আসলো কিন্তু ফিরতে অফিস শেষের টাইম
হতে একটু দেরি হয়ে গেছে, বাসায় কলিং
বেল বাজাতেই
- এই এতো দেরি হলো কেন?
- এমনি রাস্তায় জ্যাম ছিলো
- রাস্তায় জ্যাম ছিলো নাকি কোনো
মেয়ের সাথে ঘুরতে গেছিলে?
- না, এখানেই দাড় করিয়ে রাখবে? ভেতরে
ঢুকতে দিবে না নাকি?
- আচ্ছা আসো
আসলেও রাস্তায় জ্যাম ছিলো, আর আমি
কি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউরে চিন্তা
করতে পারি।
> হুহ, হয়ছে, আর পাম দিতে হবে না, ফ্রেশ
হয়ে নাও এখন।
বিকেল বেলা একটু ঘুমাবে তখনই রাইসা
এসে
- তুমি না বলেছিলে আজকে আমাকে নিয়ে
ঘুরতে যাবে
- ওহ, মনেই নেই
- মনে তো থাকবেই না।
- এখন চলো, সময় তো যায় নি, আর হ্যাঁ সেই
হালকা গোলাপী রং এর শাড়ীটা পড়ো
- আচ্ছা
দুজনেই রিক্সায় বসে আছে, কিন্তু কেউ কথা
বলছে না, এদিকে রাতুল রাইসার দিকে এক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তাকে আজ অসম্ভব
সুন্দর লাগছে।
- এই, কি দেখছো
- তোমাকে
- আমাকে এভাবে দেখার কি আছে
- তোমার দিকে আমি সারাদিন তাকিয়ে
থাকলেও ক্লান্ত হবো না।
- হুহ, ঢং....
দুজনে সারা বিকেল অনেক ঘুরাঘুরি করে
রাতে বাসায় ফিরলো, ও হ্যাঁ রাইসা কিছু
সপিং ও করলো।
দুজনেই অনেক ক্লান্ত, রাইসা একটু বেশি
তাই সে আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু রাতুল
ঘুমায় নি, সে রাইসার ঘুমন্ত নিষ্পাপ পরীর
মতো মুখ খানা দেখছে।
সে প্রতি দিন রাইসার পরে ঘুমায় কারন সে
রাইসার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে
থাকে।
তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকে কখন যে
রাত দুইটা বেজে গেছে টেরও পায় নি,
- তুমি এখনো ঘুমাও নি?
- ই এ মানে
- ই এ কি????
- তুমি এতো সুন্দর কেন?
- তোমার জন্য হি হি..
- তুমি কখনও হারিয়ে যাবে নাতো
- কখন ও না, এখন ঘুমাও।
রাতুলের ভয় হয় যদি কখনও রাইসা হারিয়ে
যায়, তখন সে আর বাচঁতে পারবে না। তাই
তাকে সবসময় চোখে চোখে রাখে।
পরের দিন দুপুরে শুয়ে আছে রাইসা, এমন
সময় কলিং বেল বেজে উঠাতে এগিয়ে
গেলো,
- তোমরা !!!!!! ( রাইসার বাবা, মা) একটু
তো ফোন করে আসতে পারতে ভেতরে
আসো।
- জামাই আসে নি এখনো? ( রাইসার
বাবা)
- এইতো এখনি চলে আসবে।
বাবা মা এসেছে তাই সে খুব ভালো করে
রান্না করছে।
অনেক্ষন ধরে তারা রাতুলের জন্যে
অপেক্ষা করছে কিন্তু তার আসার কোনো
নাম নেই, অফিসের কাজে আটকে গেছে।
অফিস শেষে কিছু সপিং করে বাসায়
আসলো।
- এতক্ষণে আসা হলো আপনার
- হুম, কি হয়ছে তাতে
- বাবা মা এসেছিলো
- ভালো।
রাতুলের কথায় নে রকম রেসপন্স না পেয়ে
রাইসা চলে আসলো।
রাত বারোটার বাজার কয়েকমিনিট
বাকি। আজ রাইসা জেগে আছে মন খারাপ
করে, ( রাতুল ও জেগে আছে তবে ঘুমের ভাব
ধরে)
প্রতি বছরই রাতুল তাকে প্রথম উইস করে
কিন্তু আজ কি যেনো হয়ছে, রাতুল
কোানো কথায় বলছে না। বারোটা বেজে
গেছে কিন্তু রাতুলের কোনো খবর নেই,
তাই সে মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়লো।
রাইসার ঘুমানোর সাথে সাথেই সে ছাদে
গিয়ে সমস্ত কিছু ঠিক করে আসলো। রুমে
এসে রাইসা ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে
সোজা ছাদে চলে আসলো।
ছাদে আসার পর যখন সাজানো ছাদ
দেখতে পেলো
- আমি কোথায়? স্বপ্নে দেখছি নাকি?
- নাহ, বাস্তবে।
- এতো কিছু কার জন্যে?
- অনলি ফর ইউ
- তাহলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এমন
করলে কেনো?
- তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে
- ( রাইসা কাদতেছে)
- কি হলো কাদছো কেনো? ওহ, তোমাকে
তো উইসটাই করা হয় নি, """ হ্যাপি বার্থ
ডে টু ইউ "" আর এই নাও তোমার গিফট
( অফিস থেকে ফেরার সময় একটা শাড়ী
কিনে এনেছিলো)
- তুমি আমাকে এতো ভালবাসো?
- হুম, আমার থেকে তোমায় আমি
ভালবাসি বেশি।
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
নতুন নতুন Golpo পড়তে ভিজিট করুন
ReplyDeleteVALOBASARGOLPO2.XYZ