Saturday, August 20, 2016

এই হচ্ছে টাকি হুম?? ছারো প্লিজ !!! (রোমান্টিক)




হঠাৎ করে স্যারের ফোন।অফিসে জরুরী কাজ আছে, আমাকে
নাকি আজ রাত্রে অফিসে থেকে কাজটা ঠিকমত হচ্ছে কি না
তার তদারকি করতে হবে।রাত জাগার অভ্যাস খুব ই কম।ঘুমানোর
অভ্যাস খুব বেশি।আমার মা আমাকে আদর করে ডাকত ঘুমবাবু।
সেই ঘুম বাবুই আজ জাগ্রত বাবুতে পরিণত হবে।
ডিয়ার স্যার হল অবিবাহিত।তাই ঘরে বউ রেখে রাত জেগে
অফিসে কাজ করা যে কতটা যন্ত্রনাদায়ক তা হয়ত স্যার
বোঝেনা।আপনাদের তো বলাই হয়নি আমি কিন্ত বিবাহিত।ছয়
মাস হল বিয়ে করছি।আমার পাগলিটার নাম তুবা।পারিবারিক
ভাবেই আমাদের বিয়ে হইছে।বাবা-মায়ের ইচ্ছে ছিল তাদের
পছন্দ করা মেয়েকেই যেন আমি বিয়ে করি।তাই বাবা মায়ের এই
ক্ষুদ্র আবদার টাকে মনে প্রাণে মেনে নিয়ে নিয়েছি।তুবা কে
বিয়ে করার পর প্রতিটা মূহুর্তে আমার মনে হয়,বিবাহিত
জীবনের প্রতিটা মূহুর্তই আমার কাছে সুখ থেকে সুখময় হয়ে
উঠছে।
'
'
'
সারারাত অফিস করে সকালে বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা
না করেই ঘুমবাবু তে পরিণত হলাম।একভাবে কয় ঘন্টা
ঘুমিয়েছিলাম জানিনা তবে হঠাৎ আমার বুকের ভিতরে কার
স্পর্শ অনুভব করলাম।ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি আমার
প্রাণপ্রিয় আদরের বউ তুবা।এমনভাবে আমাকে জড়িয়ে ধরে
ঘুমিয়ে আছে মনে হচ্ছে যেন ওই সারারাত অফিস করছে। তুবাও
কিন্ত আমার মত বেশি ঘুমায়।আমার মা আমাকে ডাকে ঘুমবাবু
আর আমি আমার বউ কে ডাকি ঘুমপরি।
'
'
ঘুমান অবস্থায় ঘুমপরি টাকে খুব আদর করতে ইচ্ছে হল।তাই ওর
মাথায় হাত বুলিয়ে ওকে আরো কাছে টানতেই ও জেগে গেল...
-এই হচ্ছে টা কি হুম(তুবা)
-কই কিছু না তো(আমি)
-আমি মনে হয় কিছু বুঝিনা
-বুঝলে গুড না বুঝলে ভেরি গুড
-এই ওঠ,সকালে তো কিছুই খাও নি
-হুম,তার আগে বল তুমি এখন ঘুমাচ্ছ কেন?
-না ভাবলাম তোমার একা একা ঘুমাতে হয়ত খারাপ লাগবে তাই
আমিও তোমাকে সময় দেওয়ার জন্য তোমার সাথে ঘুমাচ্ছি।হি
হি হি
-তাই না
-হুম
'
'
'
আজ সাপ্তাহিক ছুটি। তাই বিকালে তুবাকে নিয়ে ঘুরতে বের
হলাম। অনেক ঘুরাঘুরি আর আমাদের প্রিয় খাবার ফুসকা খাওয়া
শেষ করে সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরলাম।তুবাকে বাসায়
রেখেই আবার বের হলাম।উদ্দেশ্য একটাই অনেকদিন বন্ধুদের
সাথে আড্ডা দেওয়া হয়না।তাই আজ সুযোগটা কাজে লাগালাম।
তুবা যাতে আমাকে ফোন দিতে না পারে তাই ফোনটা বাসায়
রেখে আসলাম।বুদ্ধিটা কেমন হল?
'
'
'
বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে রাত দশ টায় বাসায় ফিরলাম।
বাসায় ফিরে কলিং বেল বাজাতেই তুবা দরজা খুলে দিল।
তুবাকে দেখে মনে হল খুব রেগে আছে।খুব রাগি ভাব নিয়ে
আমার সাথে কোন কথা না বলে ও রুমে চলে গেল।আমিও
পাগলিটাকে অনুসরণ করলাম।
'
'
'
-কি হইছে?(আমি)
-কই কিছু না তো(তুবা)
-তাহলে মুখে বিষন্নতার ছাপ কেন
-না কিছু হয়নি
-আচ্ছা কি হইছে বলবা তো না বললে বুঝব কিভাবে?
-তোমার বোঝা লাগবেনা।যাও ফেসবুকে গিয়ে মেয়েদের
সাথে আড্ডা মার তারা তো তোমাকে খুব মিস করে।এই কথা
বলে তুবা রুম থেকে চলে গেল।
এখন বুঝলাম আমার মহারাণী ভিক্টোরিয়া কেন রাগ করছে।
'
'
'
গতকাল রাতে অফিসে থাকার কারণে কাজের ফাকে ফেসবুকে
একটা মেয়ের সাথে চ্যাটিং করছিলাম।মেয়েটি আমার
ফেসবুক ফ্রেন্ড। বিয়ের আগে থেকেই এফবিতে পরিচয়। বিয়ের
আগে অনেক কথা হত।কিন্তু তুবা এসব পছন্দ করে না বলেই এখন
আর তেমন একটা কথা হয় না।তাই গতকাল রাতে চ্যাটিং করার
সময় লিখছিল "আই মিস ইউ"।
আর সেই মিস ইউ টাই এখন আমার কাল হয়ে দাড়িয়েছে।
'
'
'
বিয়ের পর তুবাকে বলেছিলাম তোমাকেও একটা ফেসবুক আইডি
খুলে দেই।জবাবে তুবা বলেছিল আমি তো তোমার অর্ধাঙ্গিনী
তাই তোমার আইডি এখন থেকে আমিও ইউস করব। তবে ও আমার
আইডি ইউস করলেও কখনও কারো সাথে চ্যাটিং করে না।ও শুধু
রোমান্টিক স্টোরি পেজের গল্প পড়ার জন্য ফেসবুকে যায়।ঐ
পেজের গল্প গুলো নাকি ওর খুব প্রিয়।কিন্ত ঐ যে কথায় আছে
না যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়।কেনই বা মেয়েটা
মিস ইউ লিখল আর কেনই বা তা তুবার চোখে পড়ল তা একমাত্র
আল্লাহ্ ভাল জানে।
'
'
'
খুব ভয় নিয়ে পাগলিটার কাছে গেলাম।দেখলাম পাগলিটা অন্য
রুমে গিয়ে চুপটি করে গুপটি মেরে বসে আছে।আস্তে করে ওর
পাশে গিয়ে বসলাম আর তাতেই ও তেলে বেগুনে জলে উঠল
-এই এখানে কি হুম?
-তোমার কাছে আসছি জানু
-আমার কাছে কি?
-তুমিই তো আমার সব, পাখি
-কেন আমি সব কেন,তোমাকে তো অনেকে মিস করে, তারাই তো
তোমার সব।তাদের কাছে যাও
-না জান,আমি তো ওদের পাত্তাই দেই না।
-পাত্তা না দিলে কথা বল কেন?
-আচ্ছা জান ভুল হয়ে গেছে আর বলব না।আজকেই ঐ মেয়েকে
ব্লক মারব।
-মিথ্যা কথা
-না জান সত্যি কথা
-হুম,তুমি জীবনে বলনি সত্যি কথা আর আজ বলবে মিথ্যা কথা।
-প্লিজ জান বিশ্বাস কর, আর জীবনেও করবনা মরলেও করবনা।
আমার এই কথা শুনে পাগলিটা আমার সেই মন ভুলানো হাসিটা
দিল।
-কিভাবে আমাকে পটাতে হয় তা ভাল করেই জান তাই না।অত
কিছু বুঝিনা,তুমি ভুল করছ তাই এখন এর মাশুল গুনতে হবে
-কি মাশুল
-তুমি এখন কান ধরে ৫০ বার উঠবস করবে
-তোমার কান ধরে উঠবস করতে হলে তো তোমাকেও আমার সাথে
উঠবস করতে হবে।হি হি হি হি
-এই ফাজিল আমার না তোমার কান
-এক কান নাকি দুই কান
-আমি কিন্ত আবারো রেগে যাচ্ছি(কোমড়ে দুই হাত রেখে)
-আচ্ছা করছি।এক,দুই,তিন,চার
-তুমি কান ধরে উঠবস কর আর আমি রাতের খাবার রেডি করছি
ভালই হল ও চলে গেলে তো আর দেখবে না আমি উঠবস করছি কি
না(পাগলিটা আসলেই বোকা)
-ওই হ্যালো,এই যে মোবাইলের ভিডিওটা অন করে রেখে
গেলাম,তুমি কয়বার উঠবস করছ তা এই ভিডিওতে দেখা যাবে।হি
হি হি হি
এই বলে তুবা রুম থেকে চলে গেল।
এতদিন জানতাম মেয়েদের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে কিন্ত এখন
দেখছি এদের বুদ্ধি থাকে মগজের নিচে
পাঁচ,ছয়,সাত,আট..........
-তুমি এখন কান ধরে ৫০ বার উঠবস করবে
-তোমার কান ধরে উঠবস করতে হলে তো তোমাকেও আমার সাথে
উঠবস করতে হবে।হি হি হি হি
-এই ফাজিল আমার না তোমার কান
-এক কান নাকি দুই কান
-আমি কিন্ত আবারো রেগে যাচ্ছি(কোমড়ে দুই হাত রেখে)
-আচ্ছা করছি।এক,দুই,তিন,চার
-তুমি কান ধরে উঠবস কর আর আমি রাতের খাবার রেডি করছি
ভালই হল ও চলে গেলে তো আর দেখবে না আমি উঠবস করছি কি
না(পাগলিটা আসলেই বোকা)
-ওই হ্যালো,এই যে মোবাইলের ভিডিওটা অন করে রেখে
গেলাম,তুমি কয়বার উঠবস করছ তা এই ভিডিওতে দেখা যাবে।হি
হি হি হি
এই বলে তুবা রুম থেকে চলে গেল।
এতদিন জানতাম মেয়েদের বুদ্ধি থাকে হাটুর নিচে কিন্ত এখন
দেখছি এদের বুদ্ধি থাকে মগজের নিচে
পাঁচ,ছয়,সাত,আট..........

Sunday, May 22, 2016

এমন লক্ষী বউ কে না চায় (সুপার রোমান্টিক)





ভোর ৬টা
ঘুমিয়ে আছি.... হঠাৎ শিতল ঠোটের স্পর্শে দেহের শিরা উপশিরা গুলো কম্পিত হতে লাগল,চোখ খুললাম!
দেখি আমার পরিটা মুচকি মুচকি হাসছে
(ভালবাসার মানুষগুলোর ছোয়ার মাঝে এক ধরনের অদ্ভত.... ভাললাগা বিরাজমান!যা কারও কাছে ইলেকট্রিক সর্ট আবার কারও কাছে সাগরের অতলের মত )
.
-- এই ওঠো! অনেক সকাল হয়ছে!
-- হুম(ঘুমিয়েই)
--হুম না ওঠো!
--যাচ্ছ কোথায়? একটু বুকে আসোনা গো!
-- আহা... কি করছো? সবসময় দুষ্টমি করতে হয়! ?
আমার মাথার চুলগুলো এলোমেলো করে দিলো...
--হুম! আর সেটা তোমার সাথেই!
--এই এখন ছাড়ো... ফ্রেশ হয়ে এসো! যাও
-- যাচ্ছি তার আগে একটু আসো তো
এইবলেই আমার পরীটাকে বুকে জড়িয়ে নিলাম, খুব শক্ত করে
ওর ভেজা চুল,চুলগুলো থেকে এক ধরনের অদ্ভুত ঘ্রাণ বের হচ্ছে! যা ঘরটিকে মাতিয়ে তুলছে!
.
--এই এখনতো ছাড়ো।
-- আরেকটু প্লীজ।!!!!!!
--নাহ ছাড়ো!
আমি এবার আরও শক্ত করে ওর দুহাত চেপে ধরলাম!
তারপর নাকের ডগাটা ওর নাকের সাথে ঘসা দিলাম.....
ও আমার বুকের ওপর কয়েকটা কিল ঘুসি মেরে পালালো!
আর যাবার সময় জিব্বাহ কেলিয়ে গেল..... মনে হচ্ছে আমাকে পরে দেখে নিবে!
.
ফ্রেশ হয়ে... দেখি বউ রান্না ঘরে...
মেয়েটি...ছাপা শাড়ি পরে আছে, আচলটা কোমরে গোজা! চুল গুলো খোলা অবস্থায় মাথার সাথে ছোট করে আটকে রাখা! দেখতে তো সেই লাগছে! নাহ আর থাকা যায়না!
.
আস্তে আস্তে গিয়ে পেছন থেকে ওরে যাপটে ধরলাম...
--হুহুহুহু! আবার শুরু করলে?
-- হুম আসলে তোমাকে খুব সুন্দর লাগছেতো তাই আর লোভ সামলাতে পারলাম নাহ! হিহিহি
--ও তাই?
--হুম ঠিক তাই!
--ওওও তাহলে এখন ছাড়ো! রুটি পুরে যাবেতো
এই বলেই আমাকে চিমটি কাটলো!
.
আমি হাল ছেড়ে দিয়ে... রুমে চলে আসলাম!
.
কিছুক্ষণপর
-- এই খেয়ে নাও খাবার রেডি!(চিল্লানি দিয়ে )
--আসতেছি
তারাতাড়ি আসো?
.
এসে দেখি পরিটা খাবার নিয়ে বসে আছে!
--তুমি বস! আমি আসছি!
--কোথায় যাচ্ছ আবার?
ওর হাতটা ধরলাম
-- তুমি শুরু করো! আমি এই যাবো আর আসবো!
--নাহ! একসাথে খাবো!
-- ওকে বাবা আসতেছি...পাগল একটা
এবলেই আমার খাড়া নাকটা বোচা করে দিল!
.
.
চোখাচোখি বসে আছি..দুজনে
-- এই পরি খাইয়ে দাওনা?
-- নিজে খেতে পারোনা? দিন দিন কি আরও ছোট হয়ে যাচ্ছ যে খাইয়ে দিতে হবে?
--নাহ পারছিনা! তুমি খাইয়ে দাও!
--পারবনা!
--ওকে! তুমি না খাইয়ে দিলে আজ খাবোইনা!(অভিমানী সুরে)
--অমনি হয়ে গেল তাইনা
---...............
...
এখন ও আমাকে খাইয়ে দিচ্ছে!আহ হাহা বউয়ের হাতে খাওয়ার মজাই আলাদা!
(
মাঝে মাঝে রাগ থেকে যদি হয় দারুন কিছু তো রাগই ভাল!)
.
--বাহ দারুন হয়ছে
--সত্যি(মন ভুলানো হাসি দিয়ে)
--হুম
প্রত্যেকটি মেয়েই চায় কিনা জানিনা... হয়তো চায়, যে তার সকল কিছুর প্রশংসা করুক, তাও আবার তার ভালবাসার মানুষটি!
.
এক টুকরো রুটি ছিড়ে....
--এই পরি হা করো
-- আগে তুমি খাওতো তারপর আমি খাচ্ছি!
--নাহ..! হা কর প্লিজ!
--ওকে...
ও আমার হাতটি ধরে... গলগদ্ধকরন করল!
--এই পাগলি কাদছো কেন হুম!?
--ও কিছুনা! এমনিতেই চোখে পানি এসে গেল!
-- দেখি...
ওর চোখের জল গুলো মুছে দিলাম... জানি এই জলটার মূল্য কতখানি! মাঝে মাঝে এই জলই তো বলে নিরবে প্রকাশ করে... ভালবাসি কতটুকু, ভালাবাসা যায়!
.
এরপর ওকেবুকে টেনে নিলাম........
.
এসময় একটা কথায় মনে পরছে....
ভালবাসা ভালবাসে শুধুই তাকে
ভালবেসে ভালবাসায় বেঁধে যে রাখে!!
.
.

Saturday, May 21, 2016

জ্বলন্ত রোম্যান্টিক






-বাবু রুমডেট করতে সমস্যা টা কোথায়? -
না আমি পারব না।
-কিন্তু কেনো?
-দেখ হিমেল বিয়ের আগে এইসব অবৈধ।
-আমরা তো বিয়ে করবই।তো সমস্যা
কোথায়? -এইটাই তো কথা বিয়ে তো
করবোই তা না হয় বিয়ের পরেই।
-(হিমেল ভাবনার হাতটা ধরে) আচ্ছা
তুমি কি আমাকে ভালবাসনা? -হুমম।
অনেক।
-আমাকে বিশ্বাস কর না। -(মুখটা
ফিরিয়ে) হুমম।
-তাহলে এমন করছ কেন?
-তুমি বুঝতে পারছ না কেন বিয়ের
আগে এইসব ঠিক না।
-ওকে ফাইন তুমি থাক তোমার বিয়ে
নিয়ে। আমাকে ভুলেও আর কোনদিন
ফোন দিবে না। তোমার সাথে ব্রেক-
আপ।
.
কথাটা বলে চলে যাচ্ছিল হিমেল এমন
অবস্থায় এক ধাপে হিমেলের হাতটা
আকড়ে ধরে ভাবনা। হিমেল পিছে
ফিরে তাকায়।ভাবনা মাথা নিচু করে
ফেলে।
হিমেল অবস্থা বুঝতে পেরে একটা
হাসি দেয় আর বলে:
.
-তুমি কি সত্যিই রাজি?
ভাবনা মাথাটা আরো নিচু করে।তাই
ভাবনার কথা বুঝতে পেরে হিমেল
ভাবনাকে জড়িয়ে ধরে আর পিছনে
দূরে দাড়িয়ে থাকা বন্ধুদের দিকে
হাত দিয়ে ইশারা করে ডান।
.
বন্ধুরা ভংগিমার মাধ্যমে হিমেলের
প্রশংসা করতে থাকে।তারপর
ভাবনাকে পাঠিয়ে বন্ধুদের দিকে
ছুটে যায় হিমেল।সবাই পিঠ চাপড়িয়ে
হিমেলের প্রশংসা করতে থাকে। -
মানতে হবে বস তুই একখান চিজ ই।
হিমেল হাসি দেয়।তারপর বলে -২১
নাম্বারটাও হালাল হয়ে গেল। সব
বন্ধুরা হাসিতে ফেটে পরে। .
ওইদিকে ভাবনা বাসায় গিয়ে ভাবে
কাজটা করা তো ঠিক হবে না।কিন্তু ও
হিমেলকে যে অনেক বেশি
ভালবাসে।কি করা যায় ভাবতে
থাকল।
.
পরেরদিন আর কলেজে যায় নি ভাবনা।
এই দেখে হিমেল ভাবনাকে ফোন দেয়
ভাবনা ফোন ও ধরে না।রাত ৯ টার
দিকে হিমেলের মোবাইলে ফোন
আসে।ততক্ষনাক ফোনটা ধরে
-কি ব্যাপার সারাদিন ফোন দিলাম
ধরলে না কেনো?
-এমনিতেই।
-এমনিতেই কেও ফোন না ধরে নাকি?
কথাটার উত্তর দিল না ভাবনা।তারপর
হঠাৎ বলে উঠল
-তুমি কি আমার বাসায় আসতে
পারবে? -তোমার বাসায় কেন?
-বাসা খালি তো তাই।
কথাটা শুনে হিমেলের লোভি মন
জেগে গেল। -আচ্ছা কখন?
-এখনি আসো।
-আচ্ছা আসছি।
.
ফোনটা রেখে হিমেলের মুখ দুষ্ট
হাসিতে ভরে উঠল।তারাতারি বাসা
থেকে বের হলো ভাবনার বাসার
উদ্দেশ্যে।
১০ মিনিটের ভিতর ভাবনার বাসায়
পৌছে গেল। দরজা নক করে বাগানের
দিকে চাইল হিমেল। দেখল ভাবনা
দোলনায় বসে দোলছে।ওইদিকে যেতে
লাগল হিমেল।গিয়ে ভাবনাকে বলল: .
-কি ব্যাপার এইখানে এইভাবে চুল
এলোমেলো করে বসে রয়েছ কেনো?
পা দিয়ে দোলনি থামাল ভাবনা।
তারপর হিমেলের দিকে চেয়ে হাসি
দিল।হিমেল বিব্রত বোধ করল।
-চল ভিতরে চল?
-তুমি আমার দেহটা নিয়ে যেও।তারপর
যা মন চায় করো।
-(চোখ বড় করে)মানে কি?
-হিমেল তুমি কি মনে করেছ আমি
তোমার ব্যাপারে কিছু জানি না।
তোমার আর ২০ টা গার্লফ্রেন্ড এর
সাথে এই একই কাজ করেছ আমি কি তা
জানি না।
-(ঘাবড়িয়ে গিয়ে)আরে না। হাতটা
উপরে উঠিয়ে ভাবনা বলল -আর বলতে
হবে না।তুমি কি জানো হিমেল আমি
তোমাকে কতটা ভালবেসেছি।আর
তুমি শুধু আমার দেহটাকে।আমি তো
আমার ভালবাসাকে তোমার ভিতরের
লোভির কাছে জিন্দা থাকতে
বিক্রি করতে পারি না।তাই একটু পর
আমার নিথর দেহটাকে নিয়ে যা মন
চায় করো। -মানে কি এইসবের?
ভাবনা হাসি দিয়ে ডান হাতের
মোঠটা খোলে। হিমেল দেখতে পায়
ভাবনার হাতে বিষের বোতল।আর
ঘাবড়িয়ে যায়।
-এটা কি?
.
মুচকি হাসি দোলনা থেকে নিচে
পরে যায় ভাবনা।তারপর মুখ দিয়ে
অনবরত ফেনা বের হতে থাকে।হিমেল
সম্পূর্ন ঘাবড়িয়ে যায়।কাতরাতে
কাতরাতে হিমেলের চোখের
সামনেই দম ফেলে দেয় ভাবনা।
.
হিমেলের শরিরে কাপুনি ধরে যায়।
তারপর নিচে বসে ভাবনার গালে
আস্তে আস্তে থাপড়িয়ে ডাক দিতে
থাকে।ডাকে সাড়া না দেওয়ায়
বুঝতে পারে ভাবনা মারা গেছে। .
হিমেল কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই
দৌড় দেয়। গেট থেকে বের হয়ে ডান
দিকে জোড়ে দৌড়াতে থাকে।আর
ভাবতে থাকে এটা কি করলাম।একটা
নিষ্পাপের জিবন কেড়ে নিলাম। .
দৌড়চ্ছে আর মাথার চুলগুলায় হাত
দিয়ে এদিক ওদিক চাইছে।অনেক ঘাম
বের হচ্ছিল তাই ঘাম মুছতে মুছতে ল্যাম
পোস্টের দিকে চাইল।দেখতে পারল
সুমি দাড়িয়ে রয়েছে।কিন্তু সুমিও
হিমেলের কারনে ২ বছর আগে মারা
গিয়েছিল। দৃশ্যটা দেখে হিমেল
ল্যাম্পপোস্ট থেকে একটু দূরে গিয়ে
দাড়ায়।
.
সুমি বলতে থাকে:
-নাও হিমেল আমার দেহটাও নাও।
কথাটা শুনে হিমেল ভয়ে চিৎকার
করে বলতে থাকে:
-না দেহ আমি চাই না।দেহ আমি চাই
না। বলতে বলতে অচেতন হয়ে রাস্তায়
পরে রইল হিমেল।

এতো ভালোবাসা ???? নাকি ঢং !!




রাতুল এবং রাইসা স্বামী স্ত্রী, রাতুল
ছেলে হিসেবে খুবই ভালো কিন্তু একটু
অগোছালো এবং বেখায়ালি কোনো
কাজই সময় মত করে না। এদিকে রাইসা
হলো রাগি স্বভাবের।
রাত অনেক হয়ে গেছে রাইসা
ঘরে অনেক্ষন যাবত বসে আছে রাইসা,
রাতুলের আসার নাম নেই, অনেক্ষন পর তার
আগমন ঘটলো
- এতক্ষণ লাগলো তোমার আসতে?
কোথায় ছিলে?
- একটু বাহিরে গেছিলাম
- কি?? বাহিরে?
- হুম
- এখন থেকে আর বাহিরে থাকা চলবে না,
এই বলে দিলাম।
- ওকে, দেখা যাবে
তাদের বিয়ে হয়ে কয়েক মাস হয়ে গেছে,
তবে বিয়েটা লাভ ম্যারেজ।
দীর্ঘ চার বছর রিলেশনের পর তারা বিয়ে
করছে , তাদের মধ্যে ভালবাসার কোনো
কমতি নেই।
সকাল নয়টা বেজে গেছে, রাতুল অফিসে
যাবে তাই রাইসা অনেক সকাল থেকেই
রান্নার কাজে ব্যস্ত এদিকে রাতুল কেবল
ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অফিসের জন্যে
রেডি হচ্ছে।
রান্না ঘরে গিয়ে রাইসাকে পেছন থেকে
জড়িয়ে ধরলো
- এই কি করছো! ছাড়ো বলছি
- ছাড়বো না
সামনে ঘুরে রাতুলের দিকে দাকিয়ে হেসে
দিল
- কি হলো হাসছো কেনো?
- নিজের দিকে একবার তাকাও
- নিজের দিকে তাকানোর কি আছে
- শার্টের বোতাম গুলাও তো ঠিক মতো
লাগাতে পারো নি এলো মেলো হয়ে
গেছে
- তোহ, কি হয়ছে? তুমি ঠিক করে দাও
- তোমাকে নিয়ে আর পারা যায় না, একটা
কাজও ঠিক মতো করতে পারো না। এখন
খেতে আসো।
সকালের খাবার টা খেয়ে অফিসের দিকে
রওনা হলো রাতুল।
অফিসে পৌছে রাইসা কে ফোন দিয়ে
- আমি ঠিকমতো পৌঁছেছি
- হুম, আর কোনো মেয়ের সাথে ভুলেও কথা
বলার চেষ্টা করবে না, আমি যদি জানতে
পারি তুমি কারো সাথে কথা বলেছো
তাহলে খবর আছে বলে দিলাম
- আচ্ছা বাবা রাখি।
অফিসের কাজগুলো শেষ করে বাসায় চলে
আসলো কিন্তু ফিরতে অফিস শেষের টাইম
হতে একটু দেরি হয়ে গেছে, বাসায় কলিং
বেল বাজাতেই
- এই এতো দেরি হলো কেন?
- এমনি রাস্তায় জ্যাম ছিলো
- রাস্তায় জ্যাম ছিলো নাকি কোনো
মেয়ের সাথে ঘুরতে গেছিলে?
- না, এখানেই দাড় করিয়ে রাখবে? ভেতরে
ঢুকতে দিবে না নাকি?
- আচ্ছা আসো
আসলেও রাস্তায় জ্যাম ছিলো, আর আমি
কি তোমাকে ছাড়া অন্য কাউরে চিন্তা
করতে পারি।
> হুহ, হয়ছে, আর পাম দিতে হবে না, ফ্রেশ
হয়ে নাও এখন।
বিকেল বেলা একটু ঘুমাবে তখনই রাইসা
এসে
- তুমি না বলেছিলে আজকে আমাকে নিয়ে
ঘুরতে যাবে
- ওহ, মনেই নেই
- মনে তো থাকবেই না।
- এখন চলো, সময় তো যায় নি, আর হ্যাঁ সেই
হালকা গোলাপী রং এর শাড়ীটা পড়ো
- আচ্ছা
দুজনেই রিক্সায় বসে আছে, কিন্তু কেউ কথা
বলছে না, এদিকে রাতুল রাইসার দিকে এক
দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে, তাকে আজ অসম্ভব
সুন্দর লাগছে।
- এই, কি দেখছো
- তোমাকে
- আমাকে এভাবে দেখার কি আছে
- তোমার দিকে আমি সারাদিন তাকিয়ে
থাকলেও ক্লান্ত হবো না।
- হুহ, ঢং....
দুজনে সারা বিকেল অনেক ঘুরাঘুরি করে
রাতে বাসায় ফিরলো, ও হ্যাঁ রাইসা কিছু
সপিং ও করলো।
দুজনেই অনেক ক্লান্ত, রাইসা একটু বেশি
তাই সে আগেই ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু রাতুল
ঘুমায় নি, সে রাইসার ঘুমন্ত নিষ্পাপ পরীর
মতো মুখ খানা দেখছে।
সে প্রতি দিন রাইসার পরে ঘুমায় কারন সে
রাইসার ঘুমন্ত মুখের দিকে তাকিয়ে
থাকে।
তার দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকে কখন যে
রাত দুইটা বেজে গেছে টেরও পায় নি,
- তুমি এখনো ঘুমাও নি?
- ই এ মানে
- ই এ কি????
- তুমি এতো সুন্দর কেন?
- তোমার জন্য হি হি..
- তুমি কখনও হারিয়ে যাবে নাতো
- কখন ও না, এখন ঘুমাও।
রাতুলের ভয় হয় যদি কখনও রাইসা হারিয়ে
যায়, তখন সে আর বাচঁতে পারবে না। তাই
তাকে সবসময় চোখে চোখে রাখে।
পরের দিন দুপুরে শুয়ে আছে রাইসা, এমন
সময় কলিং বেল বেজে উঠাতে এগিয়ে
গেলো,
- তোমরা !!!!!! ( রাইসার বাবা, মা) একটু
তো ফোন করে আসতে পারতে ভেতরে
আসো।
- জামাই আসে নি এখনো? ( রাইসার
বাবা)
- এইতো এখনি চলে আসবে।
বাবা মা এসেছে তাই সে খুব ভালো করে
রান্না করছে।
অনেক্ষন ধরে তারা রাতুলের জন্যে
অপেক্ষা করছে কিন্তু তার আসার কোনো
নাম নেই, অফিসের কাজে আটকে গেছে।
অফিস শেষে কিছু সপিং করে বাসায়
আসলো।
- এতক্ষণে আসা হলো আপনার
- হুম, কি হয়ছে তাতে
- বাবা মা এসেছিলো
- ভালো।
রাতুলের কথায় নে রকম রেসপন্স না পেয়ে
রাইসা চলে আসলো।
রাত বারোটার বাজার কয়েকমিনিট
বাকি। আজ রাইসা জেগে আছে মন খারাপ
করে, ( রাতুল ও জেগে আছে তবে ঘুমের ভাব
ধরে)
প্রতি বছরই রাতুল তাকে প্রথম উইস করে
কিন্তু আজ কি যেনো হয়ছে, রাতুল
কোানো কথায় বলছে না। বারোটা বেজে
গেছে কিন্তু রাতুলের কোনো খবর নেই,
তাই সে মন খারাপ করে ঘুমিয়ে পড়লো।
রাইসার ঘুমানোর সাথে সাথেই সে ছাদে
গিয়ে সমস্ত কিছু ঠিক করে আসলো। রুমে
এসে রাইসা ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে
সোজা ছাদে চলে আসলো।
ছাদে আসার পর যখন সাজানো ছাদ
দেখতে পেলো
- আমি কোথায়? স্বপ্নে দেখছি নাকি?
- নাহ, বাস্তবে।
- এতো কিছু কার জন্যে?
- অনলি ফর ইউ
- তাহলে বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত এমন
করলে কেনো?
- তোমাকে সারপ্রাইজ দিবো বলে
- ( রাইসা কাদতেছে)
- কি হলো কাদছো কেনো? ওহ, তোমাকে
তো উইসটাই করা হয় নি, """ হ্যাপি বার্থ
ডে টু ইউ "" আর এই নাও তোমার গিফট
( অফিস থেকে ফেরার সময় একটা শাড়ী
কিনে এনেছিলো)
- তুমি আমাকে এতো ভালবাসো?
- হুম, আমার থেকে তোমায় আমি
ভালবাসি বেশি।